নারায়নগঞ্জ ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শীতের তীব্রতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট :

একদিনের ব্যবধানে শৈত্য প্রবাহ আরও বিস্তৃত হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। সকালে তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রীতে থাকলে দুপুরে ১২ টায় সেটা ১৯ ডিগ্রীতে আবহমান থাকে, রয়েছে কুয়াশার দাপটও। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কমতে থাকে ধীরে ধীরে। মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলছে। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ, দিনমজুর ও চাকুরিজীবিদের। বিশেষ শীতের কাপড়ের অভাবে কষ্ট পোহাচ্ছে তারা। শীত যত বাড়ছে তাদের জীবন যেন তত দুর্বিসহ হয়ে উঠছে।

এদিকে, রাতের গভীরতার সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতাও। প্রায় মানবশূন্য হয়ে যায় ফুটপাতগুলো। শীতের তীব্রতা ঠেকাতে সবাই চলে যায় নিজ নিজ বাসস্থানে। কিন্তু তার পরও ফুটপাতেই থেকে যেতে হয় কিছু মানুষকে। কারণ ফুটপাতই তাদের স্থায়ী ঠিকানা। নগরীতে সন্ধ্যা নামতেই রাস্তার পাশে, পার্ক, শহীদ মিনার, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলে মধ্য বয়সী নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশু। এই

পথচারী শেখ কামাল হোসেন নারায়ণগঞ্জের আলো ডটকমকে বলেন, গত ৫ বছরও নারায়ণগঞ্জে এত শীত দেখি এবার আমাদের নারায়ণগঞ্জে অনেক শীত।
সময় শীতজনিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ । শীত মৌসুমে বৃদ্ধ ও শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত নানা রকম রোগের প্রকোপ বাড়ছে। রাতভর ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ফুটপাতে থাকা মানুষগুলো। মানবেতর অবস্থার মধ্যে যাচ্ছে তাদের জীবন। এই মানুষগুলোর শীতের পোশাক না থাকায় ছেড়া কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারণ করে বেঁচে থাকার লড়াই করে যাচ্ছেন।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) সরেজমিন নগরজুরে এসব চিত্র এখন দৃশ্যমান। ঠান্ডার কবল থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন, বাশঁ ও কাঠেঁর টুকরোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে এসব দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ। কারো কাছে এক দুটি কম্বলেই তীব্র শীতের রাত পারি দিচ্ছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

শীতের তীব্রতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট :

একদিনের ব্যবধানে শৈত্য প্রবাহ আরও বিস্তৃত হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। সকালে তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রীতে থাকলে দুপুরে ১২ টায় সেটা ১৯ ডিগ্রীতে আবহমান থাকে, রয়েছে কুয়াশার দাপটও। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রা কমতে থাকে ধীরে ধীরে। মানুষের জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলছে। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ, দিনমজুর ও চাকুরিজীবিদের। বিশেষ শীতের কাপড়ের অভাবে কষ্ট পোহাচ্ছে তারা। শীত যত বাড়ছে তাদের জীবন যেন তত দুর্বিসহ হয়ে উঠছে।

এদিকে, রাতের গভীরতার সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতাও। প্রায় মানবশূন্য হয়ে যায় ফুটপাতগুলো। শীতের তীব্রতা ঠেকাতে সবাই চলে যায় নিজ নিজ বাসস্থানে। কিন্তু তার পরও ফুটপাতেই থেকে যেতে হয় কিছু মানুষকে। কারণ ফুটপাতই তাদের স্থায়ী ঠিকানা। নগরীতে সন্ধ্যা নামতেই রাস্তার পাশে, পার্ক, শহীদ মিনার, রেল স্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে দেখা মিলে মধ্য বয়সী নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশু। এই

পথচারী শেখ কামাল হোসেন নারায়ণগঞ্জের আলো ডটকমকে বলেন, গত ৫ বছরও নারায়ণগঞ্জে এত শীত দেখি এবার আমাদের নারায়ণগঞ্জে অনেক শীত।
সময় শীতজনিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ । শীত মৌসুমে বৃদ্ধ ও শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত নানা রকম রোগের প্রকোপ বাড়ছে। রাতভর ঘন কুয়াশায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন ফুটপাতে থাকা মানুষগুলো। মানবেতর অবস্থার মধ্যে যাচ্ছে তাদের জীবন। এই মানুষগুলোর শীতের পোশাক না থাকায় ছেড়া কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারণ করে বেঁচে থাকার লড়াই করে যাচ্ছেন।

রবিবার (৮ জানুয়ারি) সরেজমিন নগরজুরে এসব চিত্র এখন দৃশ্যমান। ঠান্ডার কবল থেকে বাঁচতে কাগজ, পলিথিন, বাশঁ ও কাঠেঁর টুকরোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে এসব দরিদ্র ছিন্নমূল মানুষ। কারো কাছে এক দুটি কম্বলেই তীব্র শীতের রাত পারি দিচ্ছেন।