ফতুল্লার থানায় শীর্ষ সন্ত্রাসী হিরা গ্রেপ্তার

- আপডেট সময় : ০৬:০৬:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩ ২২৫ বার পড়া হয়েছে
ডেক্স রিপোর্ট
ডাকাতির প্রস্ততিকালে ফতুল্লা মডেল থানার শীর্ষ সন্ত্রাসী এক ডজনেরও বেশী মামলার পলাতক আসামি আলাউদ্দিন ওরফে হিরা (৩৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতের নিকট থেকে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্রসহ ব্যবসায়ী রাশেদকে কুপিয়ে ছিনিয়ে নেয়া মোটরসাইকেলটি ও উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার( ১১ ডিসেম্বর) রাতে তাকে ফতুল্লা মডেল থানা সীমান্তের দেওভোগ বাশমুলি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। শির্ষ এই সন্ত্রাসীর গ্রেপ্তারের সংবাদে স্থানীয়বাসীর মাঝে নেমে এসেছে স্বঃস্তি। গ্রেপ্তারকৃত হিরা ফতুল্লা মডেল থানার ভোলাইল শান্তিনগর এলাকার সফর আলী মাঝির পুত্র।
পুলিশ নারায়ণগঞ্জের আলো ডটকমকে জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপুর নেতৃত্ব উপ- পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন, মিজানুর রহমান সজিব,সহকারী উপ-পরিদর্শক শেখ রাজু সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাশিপুর বাশমুলি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র সহ দূর্র্ধষ সন্ত্রাসী হিরা কে গ্রেপ্তার করে। তবে এ সময় তার সহোযোগিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানায়, গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় তেরোটি মামলা রয়েছে।বুধবার রাতে ডাকাতির প্রস্ততিকালে দেশীয় তৈরি ধারালো অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েক মাস পূর্বে রাশেদ নামক এক ব্যক্তি পিটিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ফতুল্লার কাশিপুরে রাশেদ নামক এক কাপড় ব্যবসায়ীকে মোটর সাইকেল থেকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার ঘটনার অন্যতম হোতা ও এক ডজনের ও বেশী মামলার পলাতক আসামী আলাউদ্দিন ওরফে হিরা।
ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার ভিডিও সে সময় ব্যাপক ভাইরাল হলে ফতুল্লার সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনার সাথে জড়িতরা আত্নগোপনে চলে যায়।
উল্লেখ্য যে,ফতুল্লার দেওভোগ শেষ মাথা এলাকায় বিদায়ী বছরের ১৩ নভেম্বর রাতে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৩ জনের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর বাবা নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ব্যক্তিকে কয়েকজন মিলে কাঠের লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাচ্ছেন। এ সময় ওই ব্যক্তি তাদের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে উচ্চস্বরে চিৎকার করছেন।
আশপাশে অনেক লোকজন দাঁড়িয়ে মারধর দেখলেও কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। নির্যাতনের একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি নিথর হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে। এ সময় সন্ত্রাসীরা চলে যায়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করা হয়, ফতুল্লার পশ্চিম দেওভোগ এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে রাশেদ (২৬)।
৩ নভেম্বর বিকেলে ভোলাইল থেকে মোটরসাইকেলে কাশিপুর যাওয়ার পথে দেওভোগ শেষ মাথা এলাকায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসী রাজু, প্রধান জুয়েল প্রধান ও তাদের গ্রুপের লোকজন পথরোধ করে রাশেদকে এলোপাতাড়ি গণপিটুনি দেয়।
এ সময় আশপাশ থেকে অনেকেই পিটুনির ভিডিও করেন। ওই ভিডিও ১০দিন পর ফেসবুকে একাধিক ব্যাক্তি আপলোড দিলে তা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরে।